শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
রবিবার সকাল পোনে ১১ টার দিকে স্কুলে বসেই প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ আলমকে মারধর করে সহকারী শিক্ষক কাওসার হোসেন।
সরেজমিনে গেলে প্রধান শিক্ষক শাহ আলম স্কুলের শিক্ষকদের রুটিন তালিকা দেখিয়ে অভিযোগ করে বলেন, তার স্কুলের শিক্ষকরা তাদের ইচ্ছেমত রুটিন তৈরী করে ক্লাস করতে চাইলে এতে বাধা দেয়া হয়। এরা ইচ্ছামত ৩য় শ্রেনী থেকে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীদেরকে চাপ প্রয়োগ করে স্কুলের ভিতরে কোচিং বানিজ্য করছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, কয়েকজন শিক্ষক প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্যতামূলক কোচিং করিয়ে প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। সামান্য মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছ থেকে ফেল করার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা।
এবিষয় একাধিকবার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসন ও সাবেক স্কুল কমিটির কাছে অভিযোগ দিয়েও তারা কোন সুফল পায়নি।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শাহ আলমকে তাকে মারধরের কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ২০১৭ সালের ১লা আগস্ট এই স্কুলে যোগদান করার পর থেকেই দেখতে পাই এখানে শিক্ষকদের স্কুলে আসা-যাওয়ার কোনো নিয়ম নীতি নেই, নেই কোনো স্কুলে শৃঙ্খলা এসব কাজে বাধা প্রধান করার পর থেইে কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকারা এক জোট হয়ে আমাকে প্রায় সময় অপদস্থ করে যাচ্ছে। তাদের স্বার্থ হাছিলের জন্য এব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করা সহ শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান ও সাবেক কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া আছে।
এব্যাপারে হামলাকারী সহকারী শিক্ষক কাওসার হোসেন বলেন, আমি প্রধান শিক্ষককে মারধর করিনি, তবে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে।